সোমবার, ২৩ মে, ২০২২

মোঃ মিনহাজুল আবেদীন সম্পাদিত ‘আদ্যন্ত’র প্রকাশনা উৎসব সম্পন্ন।



 ‘সাহিত্যের সান্নিধ্যে থাকার প্রয়াস’

এই স্লোগানকে বুকে লালন করে মোঃ মিনহাজুল আবেদীন সম্পাদিত লিটল ম্যাগাজিন ‘আদ্যন্ত’র প্রকাশনা উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।


২০ এপ্রিল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় কুলাউড়া পৌরসভার হলরুমে আয়োজিত প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে ‘আদ্যন্ত’র সম্পাদক মোঃ মিনহাজুল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিপার উদ্দিন বলেন, এই ডিজিটাল যুগে সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। কিভাবে কম সময়ে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায় এই চিন্তা মাথায় নিয়ে বেশিরভাগ তরুণেরা ছুটছে। এরকম এক অস্থিতিশীল সময়ে আমাদের তরুণ সংগঠক মিনহাজুল আবেদীন যে কাজটি করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- রাবেয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুছ ছালাম, এ এফ এম ফৌজি চৌধুরী, কবি ইব্রাহীম খলিল, শেড অব নেচারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু সুফিয়ান, প্রথম আলো কুলাউড়া বন্ধুসভার সভাপতি স্বপন কুমার দাস, ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক খালিক উদ্দিন, শেড অব নেচারের সাবেক সভাপতি আব্দুস সামাদ আজাদ চঞ্চল।

অন্যান্যের মধ্যে  বক্তব্য রাখেন- বন্ধুমহলের পক্ষে দেবদাস চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহম, সোশ্যাল কেয়ার অব নেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিদ খান শাওন, প্লাটুন টুয়েলভের হাবিবা ইসলাম ইমা, প্রমূখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আদ্যন্ত পরিবারের আশিকুল ইসলাম বাবু।

প্রসঙ্গত, প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ফ্রান্স প্রবাসী মিজানুর রহমান ও ফয়েজ আহমদ তপন।



সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২

আফলাতুন দৈনিক পাকিস্তান বা পরবর্তীকালের দৈনিক বাংলার শিশু-কিশোর পাতা ‘সাত ভাই চম্পা’র সম্পাদক

 


মোঃ মিনহাজুল আবেদীন : আফলাতুন ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপের রহমতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল লতিফ। কৈশোরেই তিনি মাকে হারান। প্রথমে পড়ালেখা করেন স্থানীয় মাদ্রাসায়। পরে নিজ গ্রামে কারগিল হাইস্কুলে পড়ালেখা করেন। পরে জীবিকার তাগিদে চলে আসেন ঢাকায়। তাঁর ঢাকার জীবন অগোছালো। নিজে যা বুঝতেন তাই করতেন। শত দুঃখ-কষ্টের মাঝেও নিজেকে খাটো করতেন না। মার্জিত, রুচিশীল এবং প্রচণ্ডভাবে প্রচারবিমুখ ছিলেন আফলাতুন। মন-মানসিকতা ও চিন্তা-চেতনায় ছিলেন আধুনিক ও আদর্শবাদী। অসাম্প্রদায়িক এই মানুষটির বন্ধুর সংখ্যাও ছিলো হাতেগোনা। শামসুর রাহমান, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, কায়সুল হক, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ ছিলো তার প্রিয়জন।


দৈনিক বাংলার ‘সাত ভাই চম্পা’ শিশুপাতাটি দেখতেন আফলাতুন। তখনকার সময়ে সবচে’ আধুনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। পাতাটি শাদাকালো হলেও রঙে-গুণে-মানে চকচকে ঝকঝকে ছিল। আফলাতুন লেখাগুলো দেখতেন লাল কালির কলমে। লেখায় ভুল-ত্রুটি দেখলেই গোল চিহ্ন দিয়ে বলতেন এগুলো ঠিক করে নিয়ে আসো। পরামর্শ দিতেন। কীভাবে লেখায় উন্নতি করা যায়। গল্পগুলো কীভাবে লিখতে হয়। তখনকার সময়ে দৈনিক বাংলার ‘সাত ভাই চম্পা’য় যাঁদের লেখা ছাপা হতো তাঁদেরই লেখক হিশেবে গন্য করা হতো।


১৪ মে ২০০৬ মারা গেছেন আফলাতুন। তার প্রিয় মানুষ ছিলো সক্রেটিস, প্লেটো, টলস্টয়, গোর্কি, লাচা ও অস্কার ওয়াইল্ড। এঁদের মধ্যে প্লেটোর আরবী নামটিই তিনি ধারণ করেছিলেন লেখালেখির শুরুতে পিতৃদত্ত নামটি আমাদের কাছে অজানা থেকেই গেছে। সাহিত্য ও সাংবাদিক জগতে তিনি আফলাতুন নামেই পরিচিত ছিলেন। আফলাতুন সারাজীবনই সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ সময় ছিলেন দৈনিক পাকিস্তান বা দৈনিক বাংলায়। সাংবাদিকতা শুরু করেন কবি সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত মাসিক সমকালে চাকরি নিয়ে। এর আগে তিনি কিছুদিন শিল্প বিভাগেও চাকরি করেন। খণ্ডকালীন চাকুরে ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের। জীবনের শেষপর্বে এসে তিনি যোগদান করেন দৈনিক জনকণ্ঠে। তবে দৈনিক পাকিস্তান বা দৈনিক বাংলায় তার চাকরি জীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে। দৈনিক বাংলায় তিনি ছিলেন ফিচার এডিটর। ছোটদের জন্য নির্ধারিত ফিচার পাতা সাতভাই চম্পা তিনি সম্পাদনা করতেন। সাতভাই চম্পা সম্পাদনা তার জীবনের উজ্জ্বলতম অধ্যায়। এদেশে তিনিই প্রথম আধুনিক ও রুচিশীল শিশুতোষ পাতা ছোটদের উপহার দেন এবং একদল তরুণ তাজা লেখক সৃষ্টি করেন, যারা বর্তমান সময়ের নামী-দামী। সাতভাই চম্পার অনেক বৈশিষ্ট্য ছিলো। দু'পৃষ্ঠার সাতভাই চম্পায় ঢাউস ছবি ছাপতেন। গল্প ও ছড়া-কবিতার জুতসই অলঙ্করণ করতেন। বিশেষ সংখ্যায় লেখার সঙ্গে লেখকের ছবি ছাপতেন। আবার প্রথমদিকে সাতভাই চম্পার লোগোতে যাদের একবার লেখা ছাপা হয়েছে, তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতেন এবং প্রতি সপ্তায় তা ছাপা হতো। অভিনব হলো তার মেকআপ-গেটআপ। প্রচণ্ড সাড়া জাগিয়েছিলো সাতভাই চম্পা। তখন সাতভাই চম্পায় নিয়মিত লিখতেন শামসুর রাহমান, বেলাল চৌধুরী, এখলাসউদ্দিন আহমেদ, মোহম্মদ মাহফুজউল্লাহ, সুকুমার বড়ুয়া, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন, আলী ইমাম, পূরবী বসু, ফজল-এ-খোদা, আজমেরী ওয়ারেশ, আখতার হুসেন, মাহমুদউল্লাহ, আবু সালেহ, মসউদ-উশ-শহীদ, আহমদ আনিসুর রহমান, আহমদ নূরে আলম, ইফতেখার হোসেন, আলী আহসান, কাজল, বেবী মওদুদ, রুবী মওদুদ, সিদ্দিকা মাহমুদা, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, কাজী সালাহউদ্দিন, প্রণব চৌধুরী, জামসেদুজ্জামান লাকি প্রমুখ। আবদুল মোহিত, শাহাদাত বুলবুল, আলমগীর বাবুল, রিটন রহমান (লুত্ফর রহমান রিটন), আমীরুল ইসলাম, রোকেয়া খাতুন রুবী, শাহাবুদ্দিন নাগরী, ফারুকী খান রক্সি, আইউব সৈয়দ, আহমাদউল্লাহ, আনিস রহমান, তপংকর চক্রবর্তী, দীপংকর চক্রবর্তী, শাকিল কালাম, আশরাফুল আলম পিন্টু, ফারুক নওয়াজ, আনসার আলী, ইজাজ হোসেন, আবিদ আজাদ, আবু হাসান শাহরিয়ার, আসলাম সানী, আবু কায়সার, ওবায়দুল গনি চন্দন, ঝর্ণাদাস পুরকায়স্থ, দিলওয়ার, দেলোয়ার বিন রশীদ, বিপ্রদাস বড়ুয়া, বুলবন ওসমান, আল মনসুর, মাহবুব তালুকদার, মুরতাজা আলী, লুবনা জাহান, রশীদ হায়দার, রেজোয়ান সিদ্দিকী, শওকত আলী, ফরিদুর রেজা সাগর, শাফিকুর রাহী, শেখ তোফাজ্জল হোসেন, সৈয়দ আল ফারুক, নাজমুল হাসান, হাসান হাফিজ, আবদুর রহমান, ওয়াসিফ-এ-খোদা প্রমুখ। তাদের লেখায় সাতভাই চম্পায় বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছিলো।


একজন মননশীল সম্পাদক ও গদ্যের এক নিপুণ কারিগর হিসেবে আফলাতুন অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বড়দের কাছে, ছোটদের কাছে।

২ জনের ফাঁসি ৬ জনের যাবজ্জীবন ৭ জন খালাস

 


     সিনহা হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও ইনচার্জ লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন ৭ জন খালাস পেয়েছেন.. 

শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২

ধাপে ধাপে বাড়ছে চালের দাম

 

বোরো ও আমন দুই মৌসুমেই ধানের ভালো ফলন হয়েছে কিন্তু ধাপে ধাপে বাড়ছে চালের দাম।


২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি - বেসরকারি আমদানি ৯ লাখ টন সব মিলে সরকারি মজুত ১৭ লাখ টন তারপরও দাম বেড়েছে কেজিতে চার থেকে আট টাকা ?

বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২

এখানে আসার আগে আমি সরকারের সর্ব্বোচ্চ লোকদের সাথে কথা বলে এসেছি


খ্যাতনামা কথা সাহিত্যিক, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের শিক্ষক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড.জাফর ইকবাল স্যার ও ড.ইয়াসমিন হক মেডাম শাবিপ্রবির আন্দোলনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন," এখানে আসার আগে আমি সরকারের সর্ব্বোচ্চ লোকদের সাথে কথা বলে এসেছি। আমি তাদের কাছে যাইনি, তাঁরা আমার বাসায় এসেছেন।  আমি তাদের কথা রেখেছি এখন তাঁরা আমাকে যে কথা দিয়েছেন তা রক্ষা করবেন। না করলে আমার সাথে এবং গোটা জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। তিনি চাত্রদের আন্দোলন একশ ভাগ যৌক্তিক দাবী করে বলেন, আমি অবসরে যাবার আগে চিঠি লিখে বলেছিলাম এ গুলো বন্ধ করুন নইলে এই ক্ষোভ একদিন বিক্ষোভে রূপ নিবে। আজ তা অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন," অনশনরত অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যারা টাকা দিয়ে সাহায্য করত  তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এর চেয়ে জঘন্যতম কাজ  আর কী হতে পারে?" পুলিশের নির্যাতনের সময় শিক্ষকরা সামনে এসে না আটকানোর ঘটনায় ড.ইয়াসমিন হক তাঁর হার্টে লেগেছে বলে উল্লেখ করেন। তাঁরা উভয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন  ৫৪টি সংগঠন ছিল যার কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আলাদা পরিচিতি ও বৈশিষ্ট্য ছিল। এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরও অনেক কিছু। বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদানের জায়গা নয়।ভিসির ব্যাপারে তাঁদের কথায় যা প্রকাশ পেয়েছে  তা হলো, তিনির  কোন একাডেমিক যোগ্যতাই নেই।

তাঁরা দুজনেই  আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে বলেন, " তারা খুব সুন্দর,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অবস্থায় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা সহ  যাবতীয় বিষয় গুলো নিয়ন্ত্রণে রেখে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে, তারাই ভবিষ্যতে দেশের নের্তৃত্ব দেবে।" শিক্ষকরা ভিসিকে এতো ভয় পায় কেন এই প্রশ্নের উত্তরে স্যার বলেন," মেরুদণ্ড থাকতে হয়।" আর  ড.ইয়াসমিন হক মেডাম ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বলেন,  " তোমরা মেরুদণ্ডহীন হবা না।

ড.জাফর ইকবাল স্যার ছাত্রদের হাতে দশ হাজার টাকা তোলে দিয়ে বলেছিলেন, " পুলিশ আমাকে  গ্রেফতার করুক।"


জয়তু ড.জাফর ইকবাল স্যার

জয়তু ড.ইয়াসমিন হক মেডাম

আপনারা দেশে আছেন বলেই দেশ সম্মান পায়।আমরাও শান্তি পাই।

মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

কেউ কোনো নড়াচড়া করবেন না, টাকা গেলে যাবে সরকারের


জার্মানির এক নামকরা ব্যাংকে ব্যাংক ডাকাতির সময় ডাকাত দলের সর্দার বন্দুক হাতে নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বললো, "কেউ কোনো নড়াচড়া করবেন না, টাকা গেলে যাবে সরকারের, কিন্তু জীবন গেলে যাবে আপনার আর  তাই ভাবনা চিন্তা করে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করুন।"


এই কথা শোনার পর, সবাই শান্ত হয়ে চুপচাপ মাথা নিচু করে শুয়ে পড়েছিল। এই ব্যাপারটাকে বলে "Mind Changing Concept”, অর্থাৎ মানূষের ব্রেইনকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী অন্যদিকে কনভার্ট করে ফেলা।


সবাই যখন শুয়ে পড়েছিল, তখন এক সুন্দরী মহিলার কাপড় অসাবধানতা বসত তার পা থেকে কিছুটা উপরে ঊঠে গিয়েছিল এমন সময় ডাকাত দলের সর্দার তার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠলো, "আপনার কাপড় ঠিক করুন! আমরা এখানে ব্যাংক ডাকাতি করতে এসেছি, রেপ করতে না।"


এই ব্যাপারটাকে বলে "Being Professional”, অর্থাৎ আপনি যেটা করতে এসেছেন, সেটাই করবেন। যতই প্রলোভন থাকুক অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না।


যখন ডাকাতরা ডাকাতি করে তাদের আস্তানায় ফিরে এলো তখন এক ছোট ডাকাত(এমবিএ পাশ করা) ডাকাত দলের সর্দার(যে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে)কে বললো, "বস চলেন টাকাটা গুনে ফেলি"


ডাকাত দলের সর্দার মুচকি হেসে বললো, তার কোনোই প্রয়োজন নেই, কেনোনা একটু পরে টিভি ছাড়লে নিউজ চ্যানেলগুলোই বলে দেবে আমরা কতো টাকা নিয়ে এসেছি।


এই ব্যাপারটাকে বলে "Experience"। অভিজ্ঞতা যে গতানুগতিক সার্টিফিকেট এর বাইরে গিয়েও কাজ করতে পারে, ইহা তার একটি ঊৎকৃষ্ট প্রমাণ।


ডাকাতরা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই ব্যাংক এর এক কর্মচারি ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে ছুটে এসে বললো, স্যার তাড়াতাড়ি চলেন পুলিশকে ফোন করি, এখনই ফোন করলে ওরা বেশিদূর যেতে পারবে না। ব্যাংক ম্যানেজার কর্মচারিকে থামিয়ে দিয়ে বললো, ওদেরকে আমাদের সুবিধার জন্যই এই ২০ মিলিয়ন টাকা নিয়ে যেতে দেওয়া উচিৎ, তাহলে আমরা যে ৭০ মিলিয়ন টাকার গরমিল করেছি, তা এই ডাকাতির ভিতর দিয়েই চালিয়ে দেওয়া যাবে।


এই ব্যাপারটাকে বলে, Swim with the tide, অর্থাৎ নিজের বিপদকেও বুদ্ধি দিয়ে নিজের সুবিধা হিসেবে ব্যবহার করা।


কিছু সময় পরেই, টিভিতে রিপোর্ট আসলো, ব্যাংক ডাকাতিতে ১০০ মিলিয়ন টাকা লোপাট। ডাকাতরা সেই রিপোর্ট দেখে বারবার টাকা গুনেও ২০ মিলিয়ন এর বেশি বাড়াতে পারলো না। ডাকাত দলের সর্দার রাগে ক্রুদ্ধ হয়ে বললো, "শালা আমরা আমাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে, এতো কিছু ম্যানেজ করে মাত্র ২০ মিলিয়ন টাকা নিলাম আর ব্যাংক ম্যানেজার শুধুমাত্র এক কলমের খোঁচাতেই ৮০ মিলিয়ন টাকা সরিয়ে দিল। শালা চোর-ডাকাত না হয়ে পড়াশোনা করলেই তো বেশি লাভ হত।"


এই ব্যাপারটাকে বলে "Knowledge is worth as much as gold!" অর্থাৎ অসির চেয়ে মসী বড়।


ব্যাংক ম্যনেজার মন খুলে হাসছে, কেনোনা তার লাভ ৮০ মিলিয়ন টাকা। ৭০ মিলিয়ন টাকার গরমিল করেও সে আরও ১০ মিলিয়ন টাকা এই সুযোগে তার নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছে।


এই ব্যাপারটাকে বলে, 

"Seizing the opportunity.” Daring to take risks!


এভাবেই যেকোনো সিচুয়েশনকে কাজে লাগাতে হয়।


Collected