খ্যাতনামা কথা সাহিত্যিক, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের শিক্ষক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড.জাফর ইকবাল স্যার ও ড.ইয়াসমিন হক মেডাম শাবিপ্রবির আন্দোলনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন," এখানে আসার আগে আমি সরকারের সর্ব্বোচ্চ লোকদের সাথে কথা বলে এসেছি। আমি তাদের কাছে যাইনি, তাঁরা আমার বাসায় এসেছেন। আমি তাদের কথা রেখেছি এখন তাঁরা আমাকে যে কথা দিয়েছেন তা রক্ষা করবেন। না করলে আমার সাথে এবং গোটা জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। তিনি চাত্রদের আন্দোলন একশ ভাগ যৌক্তিক দাবী করে বলেন, আমি অবসরে যাবার আগে চিঠি লিখে বলেছিলাম এ গুলো বন্ধ করুন নইলে এই ক্ষোভ একদিন বিক্ষোভে রূপ নিবে। আজ তা অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন," অনশনরত অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যারা টাকা দিয়ে সাহায্য করত তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এর চেয়ে জঘন্যতম কাজ আর কী হতে পারে?" পুলিশের নির্যাতনের সময় শিক্ষকরা সামনে এসে না আটকানোর ঘটনায় ড.ইয়াসমিন হক তাঁর হার্টে লেগেছে বলে উল্লেখ করেন। তাঁরা উভয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন ৫৪টি সংগঠন ছিল যার কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আলাদা পরিচিতি ও বৈশিষ্ট্য ছিল। এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরও অনেক কিছু। বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদানের জায়গা নয়।ভিসির ব্যাপারে তাঁদের কথায় যা প্রকাশ পেয়েছে তা হলো, তিনির কোন একাডেমিক যোগ্যতাই নেই।
তাঁরা দুজনেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে বলেন, " তারা খুব সুন্দর,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অবস্থায় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা সহ যাবতীয় বিষয় গুলো নিয়ন্ত্রণে রেখে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে, তারাই ভবিষ্যতে দেশের নের্তৃত্ব দেবে।" শিক্ষকরা ভিসিকে এতো ভয় পায় কেন এই প্রশ্নের উত্তরে স্যার বলেন," মেরুদণ্ড থাকতে হয়।" আর ড.ইয়াসমিন হক মেডাম ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বলেন, " তোমরা মেরুদণ্ডহীন হবা না।
ড.জাফর ইকবাল স্যার ছাত্রদের হাতে দশ হাজার টাকা তোলে দিয়ে বলেছিলেন, " পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করুক।"
জয়তু ড.জাফর ইকবাল স্যার
জয়তু ড.ইয়াসমিন হক মেডাম
আপনারা দেশে আছেন বলেই দেশ সম্মান পায়।আমরাও শান্তি পাই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন